“ভাই, আমার হাতে সময় নেই! আমি কি পারবো?”

“ভাই, শর্ট টাইমে কিছু করা যায় না?”

“ভাই, এক বছরের বেশি সময় যে দেয়া সম্ভব নয়!”

“ভাই, সময় নেই হাতে!”

আমি চব্বিশ ঘন্টা থেকে ২-৪ ঘন্টা সময় বের করি যাতে র‍্যান্ডম ব্যক্তির সাথে কথা বলতে পারি!

কারণ আমি আমার ৫-৬ বছরের প্রফেশনাল লাইফ থেকে এটাই শিখেছি যে, স্কুল-কলেজ কিংবা হাজারটা কোর্সের চেয়ে সরাসরি মানুষের সাথে কথা বলাটা আপনাকে সবচেয়ে বেশি শেখায়!

যাই হোক, উপরের কথাগুলো মূলত আমি শুনেছি কথা বলতে গিয়েই। মূল সারমর্ম হচ্ছে, ২০২২ চলে যাচ্ছে!

কিন্তু এখনো তারা কিছুই করতে পারলো না। তাদের হাতে আর সময় নেই! তারা কি করবে এখন? কি করা উচিত তাদের?

কিন্তু আমি যদি বলি, আপনি চাইলে আপনাকে এক বছরেই পরিবর্তন করতে পারবেন!

আজ্ঞে হ্যা, শুধু একটা বছর!

আপনি পুরোপুরি পরিবর্তন করে ফেলতে পারবেন আপনাকে শুধুমাত্র একটা বছরেই!

কিন্তু কিভাবে?!

যেগুলো নিয়ে আপনি কাজ করতে চাইছেন। এখন চোখ বন্ধ করুন আর ভেবে দেখুন,

“আপনি যদি এই সেক্টর নিয়ে কাজ করেন তাহলে একটানা ৩-৪ বছর একই উৎসাহ নিয়ে কাজ করতে পারবেন কি না!”

যদি পারেন, তাহলে সেই সেক্টর নিয়েই কাজ শুরু করুন! আর যদি না পারেন, তাহলে পরবর্তী সেক্টরে যান!

এভাবেই আপনি আপনার প্যাশন খুঁজে পেয়ে যাবেন!

এবার যে সেক্টর বাছাই করেছেন, সেটার জন্য ১ মাস – ৩ মাস – ৬ মাস – ১০ মাস এবং ১২ মাসের গোল/লক্ষ্য সেটআপ করুন!

আপনার টার্গেট হবে, যদি আপনি তিনবেলা খেতে না পারেন বা কোনো বন্ধুর সাথে ঘুরতে যেতে না পারেন বা ভালো কাপড়চোপড় পড়তে না পারেন; তারপরেও আপনি হাল ছাড়বেন না!

যেকোনোভাবেই হোক, যেকোনোমূল্যেই হোক – লক্ষ্যে পৌছুঁবেন!

তৃতীয় ধাপ, আপনার সারাজীবনে আপনি যা যা ভুল করেছেন সেগুলো থেকে শিক্ষা নিন! অভিজ্ঞতা হিসেবে সেগুলোকে কাজে লাগান!

চতুর্থ ধাপ, যে সেক্টর বাছাই করেছেন সেটা নিয়ে ফ্রিতে যা আছে সবকিছুই ২ মাস ধরে পড়তে-দেখতে-শুনতে-জানতে শুরু করুন।

তারপর পরবর্তী ৬ মাস সেই সেক্টর নিয়ে যতগুলো পেইড কোর্স করা সম্ভব, করে ফেলুন। সেটা করতে যদি ১০-২০-৩০-৫০-৮০-৯০ হাজার টাকা খরচ হয়, হোক!

দরকার পড়লে, ধার করে নিয়ে আসুন! ব্যাংক থেকে লোন নিন, শেখার জন্য!

I’m not joking dude. I’m serious as hell.

পঞ্চম ধাপ, আপনার সেক্টরে যে কাজই পাবেন সেটাই করুন। ইন্টার্ন হলেও করুন। কোনো পেমেন্ট ছাড়া হলেও করুন।

সেই সেক্টর রিলেটেড কাজ যেখানেই পাবেন, যাই-ই পাবেন, করতে থাকুন! ছোট-বড় খুঁজবেন না!

সর্বশেষ ধাপ, একজন মেন্টরের সাহায্য নিন, পার্সোনালি! মেন্টরের প্রত্যেকটা স্টেপ ফলো করুন।

মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমরা এই সর্বশেষ স্টেপটাই বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিস করে যাই!

একজন মেন্টর যখন আপনাকে একটা কথা বলে, তখন সে কিন্তু তার ৫-৭ বছরের অভিজ্ঞতা থেকেই কথাটা বলে!

আর আপনি সেই ৫-৭ বছরের অভিজ্ঞতা আপনার ব্রেইনে সেট করছেন মাত্র কয়েক মিনিটে! আর এইজন্যেই আপনি এক বছরে সফল হতে পারবেন!

কারণ, আসলে আপনার এক বছরে আপনি মেন্টরের দশ বছরের অভিজ্ঞতাকে নিজের মধ্যে সেট করে নিচ্ছেন!

এই ছয়টা ধাপ ফলো করা শুরু করুন জানুয়ারির এক তারিখ থেকে!

আমি বাজি ধরে বলতে পারি, আপনি সম্পূর্ণভাবে চেইঞ্জ হয়ে যাবেন মাত্র এক বছরেই!

বাজি ধরতে চান?!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top