রিসার্চারদের মতে, লম্বা এবং চিকন ফন্টগুলো আপনার বিজ্ঞাপনকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে।
ব্রাম্বারবারর্গ নামক একজন রিসার্চারের মতে, লম্বা এবং চিকন ফন্টগুলো সৌন্দর্য, নম্রতা এবং নারীত্ব বোঝায়।
অন্যদিকে ভারী ফন্টগুলো শক্তিশালী, ঔদ্ধত্য এবং পুরুষত্ব বোঝায়।
কিন্তু এটা কীভাবে সম্ভব?
একটি ফন্ট কীভাবে পার্সোনালিটি বোঝাবে?
এই উত্তরটি আসলে লুকোনো রয়েছে আমাদের ব্রেইনের অ্যাসোসিয়েটিভ নেটওয়ার্কে।
প্রত্যেকেরই সৌন্দর্যের আলাদা আলাদা মত এবং ধারণা রয়েছে – এটি কী এবং এটি দেখতে কেমন ইত্যাদি।
বেশিরভাগ দেশগুলোতে (বিশেষত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র), সুন্দর লোকেরা লম্বা এবং পাতলা হয়। এটি তাদের কাছে সৌন্দর্যের ‘মান’।
এমনকি যদি আপনি সেই মানটিতে বিশ্বাস নাও করেন, তবুও আপনি এই বৈশিষ্ট্যগুলোকে ন্যাচারাল ফোর্সের কারণে আপনার মধ্যে সংযুক্ত করে ফেলবেন।
এই অ্যাসোসিয়েটিভগুলো আমাদের ব্রেইনের মধ্যে একেকটি চাবির মতো কাজ করে। আর এই অ্যাসোসিয়েটিভগুলোর কারণে আমাদের ব্রেইনে সৌন্দর্যের মান হিসেবে এইসব বৈশিষ্ট্যগুলো যুক্ত হয়ে আছে।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমরা যখন সৌন্দর্যের এই বৈশিষ্ট্যের (যেমন, লম্বা, চিকন ইত্যাদি) ক্যাটালিস্টগুলোর মুখোমুখি হই, তখন এগুলো সক্রিয় হয়ে উঠে এবং এক ধরণের সক্রিয়করণ রস আমাদের ব্রেইনে ছড়িয়ে দেয়।
যার ফলে আমাদের চোখে সেই সৌন্দর্যের মান অ্যাক্টিভেট হয়ে সেই বৈশিষ্ট্যগুলো থেকে আপনার ব্রেইনের নোডের দিকে সৌন্দর্যের সংজ্ঞা ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যদিকে সক্রিয়করণ রস আমাদেরকে একটি নতুন অস্থায়ী লেন্স তৈরি করে দেয়। আপনার সৌন্দর্যের ধারণাটি বিস্তার ঘটার সাথে সাথেই আপনি আরো সৌন্দর্য খোঁজার জন্য আশেপাশের লেখাগুলোতে তাকাবেন।
আর এটাই হচ্ছে এই বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্য।
ক্রিয়েটিভ সব বিজ্ঞাপণে দেখবেন, পাতলা এবং হালকা ফন্টে অ্যাড লেখা থাকে কিন্তু যেই বিষয়টার উপর আমাদের জোর দেয়া দরকার মনে করি আমরা, সেটাকে আমরা বোল্ড করে ভারী করে তুলি; পাতলা রাখি না আর।
Got it?
Thanks for your blog, nice to read. Do not stop.
Thanks!