অনেকেই পন্যের দাম বেশি হওয়ার কারণে বুঝতে পারেন না যে, আসলে কোন মার্কেটিং মেথডগুলো তাদের ব্যবসার জন্য পারফেক্ট!
যদিও আমি প্রায়ই বলি, পন্যের দামটা মূল কথা নয়। কীভাবে মার্কেটিং করছেন, কিভাবে সেল করছেন সেটাই মুখ্য বিষয়!
তারপরেও অনেকেই ইনবক্স করছেন যাতে আমি এমন কিছু মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি বলে দিই, যেগুলো দিয়ে সহজেই আপনি আপনার অতিরিক্ত দামী পন্যগুলোকে অর্থাৎ লাক্সারি পন্যগুলোকে ঠিকভাবে মার্কেটিং করতে পারেন!
এই আর্টিকেলটি তাদের জন্যেইঃ
— আপনার পন্যগুলোকে দেখাতে হবে! অর্থাৎ ভিজ্যুয়াল স্ট্র্যাটেজিটা ফলো করা এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ! কখনোই দেখবেন না, পন্যটা কি! পন্যের দাম বেশি হলে, সেটাকে মানুষের চোখের সামনে তুলে ধরুন! পিন্টারেস্ট/ইন্সটাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলোকে সেক্ষেত্রে ব্যবহার করুন! চাইলে ফেসবুক এবং ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করতে পারেন, আপনার পন্যের রিভিউ দিয়ে!
— ওয়েবসাইট (ইকমার্স) তৈরি করুন! সেখানে ‘কথা কম কাজ বেশি’ নীতিতে চলুন। অর্থাৎ, খেয়াল রাখতে হবে সাইটের ভিজ্যুয়াল ইন্টারফেস, সাইটের লোডিং স্পিড, সাইট মোবাইল অপটিমাইজড কি-না এইসবের দিকে!
— ইনফ্লুয়েন্স মার্কেটিং করুন! লাক্সারি পন্যের জন্য ব্র্যান্ড এবং ছোটখাটো সেলিব্রেটি ও ইনফ্লুয়েন্সারদের দিয়ে ভিডিও তৈরি করুন! রেকমেন্ডেশন নিন ভালো ভালো ব্র্যান্ডদের!
— ফেসবুকের অটোমেটেড টার্গেটিং অপশনটা এক্ষেত্রে ‘অস্থির’ কাজ করবে! ফেসবুকে শুধুমাত্র ধনী ব্যক্তিদের বা যারা অনলাইনে অনেক বেশি শপিং করে অথবা যারা দামী পন্য কেনে তাদের টার্গেট করে অ্যাড ক্রিয়েট করা যায়! যারা জানেন না কিভাবে সেটা করতে হয়, তারা চাইলে আমার “সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রফেশনাল কোর্স” টি করে ফেলতে পারেন, মাত্র ৪৫০ টাকা দিয়েই!
— ‘ক্ষ্যাত’ এবং ‘মৃত’ কন্টেন্ট তৈরি করার চেয়ে কন্টেন্ট তৈরি না করাই ভাল! কন্টেন্ট তৈরি করুন, ক্রিয়েটিভ এবং ইমোশনাল!
— “যারা দামী পন্য কেনে, তারা দামী পন্য কেন কেনে?” এই ‘কেন’ এর উত্তরটা তাদের মনে করিয়ে দিন!
— ‘ফোমো মেথড’ ব্যবহার করুন!
— অফলাইন মার্কেটিংকে বাদ দিয়ে দেবেন না! দামী পন্য অনলাইনের চেয়ে অফলাইনেই বেশি বিক্রি হয়!
দ্যাটস ইট!
শেয়ার অ্যান্ড স্টে পজিটিভ!