মুনতাসির মাহদীর বই

মাহদীর ক্যারিয়ারের শুরুটা হয়, ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে হাতেখড়ি বইটির পিডিএফ প্রকাশ করার মাধ্যমে।

পিডিএফ প্রকাশের প্রথম রাতেই প্রকাশকের মেসেজ, “মাহদী ভাই, বইটির পিডিএফটি রিমুভ করে দিন। আমি আপনার বই পাবলিশ করতে চাই।”

মুনতাসির মাহদীর সবগুলো বই (পেপারব্যাক ও সফটকপি) এখানে পেয়ে যাবেন।

আমি তখন ক্লাস নাইনে পড়ছি! দিনরাত ঘরে বসে নতুন নতুন হিন্দি গান শুনছি আর ভাঙাচোরা একটা ল্যাপটপে ছোটখাটো প্রোগ্রামিং করছি! প্রচুর গুগল সার্চ করতাম আমি! এটা আমার কাছে ড্রাগসের মতো ছিল কারণ, আমার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম ছিলো ওটা!

 

যত বেশি সার্চ করছি, তত বেশি ‘ইনফরমেশন’ আমার মাথায় ঢুকছে! এভাবে খুঁজতে খুঁজতেই আমি কোনো এক ফোরামে, এক বিদেশীর কাছে আমার একটা ছোট্ট ‘ব্যাচ প্রোগ্রাম/স্ক্রিপ্ট’ বিক্রি করি! মাত্র ২৫০০ টাকা হাতে পেতে পেতে তিন সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয়েছিলো আমাকে!

 

আমি ১০ বছর আগে, সেদিন না জেনেই, ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করেছিলাম! বাড়িয়ে দিলাম ডিজিটাল প্রোডাক্টের উপর আমার রিসার্চ! ৫ বছরে এই ডিজিটাল প্রোডাক্টই আমাকে শূন্য থেকে কোটির অঙ্ক ছুঁতে সাহায্য করেছে!

 

বইটার ভেতর, এই সোনার ডিমপাড়া হাঁস – ‘ডিজিটাল প্রোডাক্ট’ নিয়ে শূন্য থেকে আলোচনা করেছি! পড়ে ফেলুন, পস্তাবেন না — কথা দিচ্ছি!

৮০% ক্রেতার সিদ্ধান্তে পরিবর্তন নিয়ে আসার পেছনে সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি! আর মুনতাসির মাহদী’র “সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হ্যান্ডবুক” বইটি আপনাকে সেই ক্ষমতাটুকু সঠিকভাবে ও স্ট্র্যাটেজিক্যালি ব্যবহার করার প্রসেস বাতলে দেবে!

 

E.QU.I.P. Framework থেকে S.T.A.R.S. Blueprint, কিংবা A.C.E.S. Theory থেকে E.V.O.L.V.E. Model আপনাকে প্র্যাকটিক্যালি দেখাবে; কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ইমোশনকে কন্ট্রোল করা যায়, কীভাব অথেনটিক কানেকশন তৈরি করা যায় এবং কীভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভ্যালুয়েবল অ্যাঙ্গেজমেন্ট জেনারেট করা যায়!

 

আর এগুলো পড়লে – শিখলে- জানলে; লাভ কী হবে?

 

রেফারাল ট্র্যাফিকে ৪০% গ্রোথ, কনভার্শন রেটে ২৫% গ্রোথ, অ্যাঙ্গেজমেন্ট রেটে ২৫% গ্রোথ এবং ব্র্যান্ড/বিজনেস/প্রোডাক্ট ভিজিবিলিটিতে অন্তত ৪৫% গ্রোথ আশা করা যায়!

 

শুধুমাত্র ট্যাকটিকসই নয়, এই বই আপনাকে শেখাবে স্টোরিটেলিং, রিলেশনশিপ বিল্ডিং কিংবা ব্র্যান্ড ডেভেলপমেন্ট – সবকিছুই কীভাবে সূত্রের মাধ্যমে সম্ভব, কীভাবে থিওরী আর ফর্মুলার মাধ্যমে সম্ভব!

 

আর সেজন্যেই আপনার কাছে প্রার্থনা থাকবে, এই বইটাকে কম্পাসের মতো ব্যবহার করার জন্য! যাতে করে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং নিয়ে এই ফর্মুলা, স্ট্র্যাটেজি, থিওরী আর ফ্রেমওয়ার্কগুলো আপনাকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘Ordinary’ থেকে ‘Extraordinary’ করে তুলতে পারে!

আমাদের প্রত্যেক মুহূর্তেই বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিং টেকনিকের সম্মুখীন হচ্ছি। কিন্তু সেগুলো সম্পর্কে আমাদের সুস্পষ্ট ধারণা না থাকার কারণে আমরা বুঝতেই পারছি না কীভাবে সেগুলো আমাদের ব্রেইনকে ইনফ্লুয়েন্স করছে। আর এসব সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিং টেকনিক, হ্যাকস, টিপস এবং ট্রিকস নিয়েই এই বইটি লেখা হয়েছে।

এই বইটি মূলত তাদের জন্য, যারা মার্কেটিং বিষয়টাকে প্যাশন হিসেবে নিয়েছে বা নিতে চাচ্ছে। এই বই পড়ে আপনি একজন মার্কেটার হিসেবে ক্লায়েন্ট অপ্টিমাইজ করার ক্ষেত্রে আরো দক্ষ হতে পারবেন। ব্রেইনফ্লুয়েন্সঃ দ্যা সাইকোলজি অফ মার্কেটিং

বইটি আপনাকে সহজ ভাষায় মার্কেটিংয়ের সাথে সাইকোলজির সম্পর্ক বোঝাতে সাহায্য করবে।

বাংলাদেশে ডিজিটাল মার্কেটারের সংখ্যা অন্যান্য খাতের তুলনায় অনেক অনেক অল্প। যদিও মানুষ এই খাতে এখন ক্যারিয়ার গড়তে চাইছে, কিন্তু সেটা আশানুরূপ গতিতে এগুচ্ছে কি?

উহু! এগুচ্ছে না!

এর কারণ হচ্ছে, দক্ষ না হওয়া! ডিজিটাল মার্কেটিং কি বা এর সম্পর্কে ব্যাসিক ধারণা না নিয়েই সরাসরি ডিজিটাল মার্কেটিংকে টাকা বানানোর মেশিনে পরিণত করা।

 

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে হাতেখড়ি বইটি মূলত তাদের জন্য, যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখে শুধুমাত্র টাকা আয়ই নয়, ব্র্যান্ড হতে চাইছে ও অন্যদের ব্র্যান্ড করতে চাইছে! ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে হাতেখড়ি বইটি আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একেবারে ব্যাসিক পর্যায়ের ধারণা দেবে, গল্পে গল্পে!

বর্তমানে প্রায় ৩০০ কোটির বেশি মানুষ ফেসবুকে অ্যাকটিভ! এখন আপনার কাছে আমার প্রশ্ন, পুরো পৃথিবীর ৭০০ কোটি মানুষের মধ্যে যদি ৩০০ কোটি মানুষ, ২০২১ সালের মধ্যেই ফেসবুকে অ্যাকটিভ হয়ে যায় তাহলে ২০৩০ বা ২০৫০ সালে গিয়ে কতগুলো মানুষ ফেসবুকে অ্যাকটিভ থাকবে?

 

ফেসবুককে কীভাবে সঠিকপদ্ধতিতে আপনার জন্য ব্যবহার করতে পারেন, সেটা নিয়েই এই বইটি লেখা হয়েছে! এই বইটি পড়লে তাই, ফেসবুক নিয়ে আপনার অনেকগুলো প্রশ্নের উত্তর সহজেই পেয়ে যাবেন!

আর হ্যাঁ, ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে আয় করার পদ্ধতিগুলো-ও কিন্তু এই বইয়েই আছে!

এই বইয়ের প্রত্যেকটা পৃষ্ঠা ছিড়ে ফেলে দিলেও সেটার ভ্যালু কমে যাবে না! বাংলাদেশে বাংলা ভাষায় সেলস বা ডিজিটাল সেলস নিয়ে এর চেয়ে তথ্যবহুল ও ইন-ডেপথ বই আর কখনো আসে নি! ‘ডিজিটাল সেলসঃ দ্য ফিউচার অব সেলস’ বইটি আপনাকে সেলসে হাতেখড়িই দেবে না, বরঞ্চ আপনি একইসাথে সেলসের একেবারে অ্যাডভান্সড লেভেল সম্পর্কে জানতে, শিখতে ও সহজে বুঝতে পারবেন!

 

মুনতাসির মাহদী, ডিজিটাল সেলসঃ দ্য ফিউচার অব সেলস বইটি লিখেছেন তার নয়/দশ বছরের সেলসের অভিজ্ঞতা থেকে। মাত্র দু বছরে ১৭০০০ পেইড শিক্ষার্থী তৈরি করেছেন, ডিজিটাল সেলসের এই বইয়ের মেথডসগুলো অনুসরণ করেই! আর সেটা, আপনার পক্ষেও সম্ভব!

 

‘কিন্তু… কীভাবে?’ সেটার উত্তর জানতে হলে ‘ডিজিটাল সেলসঃ দ্য ফিউচার অব সেলস’ বইটা পড়তে হবে যে!

প্রথমে যেটা ক্রিস্টাল ক্লিয়ার জেনে নেয়া উচিত সেটা হচ্ছে, “কপিরাইটিং মানে আরেকজনের লেখা দেখে দেখে কপি করে লেখা নয়!

 

প্রত্যেকদিন, পুরো পৃথিবীজুড়ে প্রায় ১৩৭০০০ নতুন ব্যবসা শুরু হচ্ছে। প্রত্যেক বছর শেষে, নতুন ব্যবসার সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় পাঁচ কোটিতে! আর এই প্রত্যেক ব্যবসায় প্রয়োজন, একজন “কপিরাইটারের!” “কপিরাইটিং: দ্য ফিউচার অব কন্টেন্ট” বইটি আপনাকে কপিরাইটিংয়ের এই ম্যাজিকাল দুনিয়াতে গ্রিমোয়ারের মতো সাহায্য করবে!

এখন একটা সিক্রেট বলি, শুনে যান!

 

“কপিরাইটিং: দ্য ফিউচার অব কন্টেন্ট, বইটির ভেতরে জাদু আছে। সিরিয়াসলি জাদু আছে! বিশ্বাস না হলে পড়েই দেখুন!”

এই ছোট্ট বাংলা বইটা কি নিয়ে?

 

এক কথায় বললে, বেচা-বিক্রি নিয়ে!

 

যারা কিছু বিক্রি করতে চাইছেন, যাদের ব্যবসা রয়েছে, যারা ফেসবুকে ব্যবসা করছেন, যারা অফলাইনে ব্যবসা করছেন, যারা মার্কেটিং করছেন, যাদের পণ্য বা সেবা রয়েছে বিক্রি করার মতন; সেলস রিলেটেড এই বইটা তাদের সাহায্য করবে আশা করছি!

বইটাতে থাকছে, নিউরোসেলিং এন্ড হিউম্যান বিহেভিয়ার, রিসেইল, দ্যা সেভেন সিক্রেটস অব সেলিং, ২০০+ সেলিং টিপস ফর অ্যানি কাইন্ড অফ প্রোডাক্টসহ আরো অনেক কিছু!

মানি মেকিং স্কিলস ডেভেলপমেন্ট ফর অ্যাক্টিভ এন্ড প্যাসিভ ইনকাম লাইভ কোর্সের সিট বুক করেছেন?

X