Description
একটা পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে যে, আমরা যতগুলো সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি তার ৯০% সিদ্ধান্তই আমাদের ব্রেইনের সাবকনসাশ অর্থাৎ অবচেতন মন দ্বারা প্রতিফলিত হয়।
এখন আপনি হয়তো এই বইটি পড়ছেন আর ভাবছেন, উহু! আমি লজিক্যাল থিংকার। আমি প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তেই নিয়ে থাকি; তাহলে আমি বলছি, বিশ্বাস করুন খুব শীঘ্রই আপনি ভুল প্রমাণিত হবেন।
বছরের পর পর হিউম্যান ব্রেইন রিসার্চাররা খুঁজে এসেছেন যে, আসলে ব্রেইনে কি কোনো ‘কিনতে চাই’ বাটন রয়েছে কি-না যেটাতে একজন বিক্রেতা চাইলে ট্যাপ করে ক্রেতাকে একটা পন্য কিনতে বাধ্য করতে পারেন! অনেক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে যে, উপরের এই ছয়টি ড্রাইভারই একজন ক্রেতাকে একটা পন্য কিনতে সবচেয়ে বেশি ইনফ্লুয়েন্স করে থাকে।
ইমোশনাল অ্যারিয়াতেই মূলত একজন ক্রেতার একটা পন্য বা সেবা ক্রয় করতে চাওয়ার আকাঙ্খাটা শুরু হয়। ধরুন, আপনি একটি মোবাইল ক্রয় করে নিয়ে আসলেন। কেউ যদি আপনাকে জিজ্ঞেস করে যে, কেন আপনি এই মোবাইলটি ক্রয় করেছেন; তাহলে আপনি তাকে মোবাইলের ফিচার এবং মোবাইলের সাথে যুক্ত অন্যান্য বিষয়গুলো নিয়ে তাকে বোঝার চেষ্টা করেন। কিন্তু আপনি নিজে হয়তো জানেন না যে, আসলে আপনি এই মোবাইলটা ক্রয় করার সময় অনুভূতি দ্বারাই ম্যানুপুলেট হয়েছেন।