আমি একটা কথা প্রায়ই বলে থাকি! আর সেটা হচ্ছে,
“সাইজ ডাজেন্ট মেটার, দ্যা কোয়ালিটি অফ দ্যা ওয়ার্ক মেটারস মোস্ট!”
বেডরুমের ক্ষেত্রে হোক কিংবা কন্টেন্টের ক্ষেত্রে, উভয়ক্ষেত্রেই কিন্তু এই লাইনটা কাজ করে।
একটা ব্লগসাইটের ক্ষেত্রেও এই একই কথাই আমি বারবার বলবো!
ব্লগের ক্ষেত্রে অনেকেই বলে থাকেন, যত বেশি পোস্ট করবেন তত ভালো রিচ পাবেন।
এটা ভুল!
পোস্টের সংখ্যা না বাড়িয়ে কোয়ালিটির দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত।
৫-১০টা কোয়ালিটিবিহীন আর্টিকেলের চেয়ে ২-৩টা কোয়ালিটিফুল এবং উন্নত আর্টিকেলের মান অনেক বেশি।
অনলাইন শপের ক্ষেত্রেও এই একই শর্ত। কোয়ালিটিবিহীন ৫টা পণ্যের চেয়ে কোয়ালিটিসম্পন্ন আর ভালোমানের একটা পণ্যই যথেষ্ট।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে প্রায়ই একটা কথা শুনি,
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে নাকি বেশি খরচ হয়, ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিংয়ের চেয়ে।
এটাও মার্কেটিং নিয়ে ভুল বোঝা কথাগুলোর মধ্যে একটা।
একটা সহজ উদাহরণ দিই!
ফেসবুকে যদি আপনি একটা বিজ্ঞাপনের পেছনে ৫০০ টাকা খরচ করেন তাহলে কম করে হলেও ৫০০০ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। আর যদি ট্র্যাডিশনালি আপনি ৫০০০ মানুষের কাছে পৌঁছতে চান, তাহলে কী পরিমাণ খরচ করতে হবে সেটার ধারনা আছে?
কমপক্ষে ১০০০ টাকা কিংবা তার চেয়ে বেশিও খরচ হতে পারে!
সেদিন আমাকে একজন বললেন,
“আমার কাছে মোট ৬টা ওয়েবসাইট আছে।”
উনার কথার মাঝে যে গর্বটা ফুটে উঠেছে, সেটা অনেকের মাঝেই আমি খেয়াল করি।
মজার ব্যাপার কি জানেন?
যারা ভাবেন, একটা ওয়েবসাইট থাকা মানে অনেক বড় ধন সম্পত্তির মালিক হয়ে যাওয়া – তারা স্রেফ বোকা।
কারণ?
অনেকগুলো।
তার মাঝে দুটো বিশেষ কারণ হচ্ছে,
প্রথমত, একটা ওয়েবসাইট করতে এখন ২০০০ টাকাও লাগে না আর একটা ওয়েবসাইট তার কন্টেন্ট এবং মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি ছাড়া সম্পূর্ণ অচল। তাই, ওয়েবসাইট খুলবেন ভালো সিদ্ধান্ত কিন্তু সঠিক কারণ ছাড়া ওয়েবসাইট তৈরি করা আর ‘কোনো কিছুই না করা’ – একই কথা।
এটা মাথায় রাখবেন।
ওয়েবসাইট খুলেছেন, কিন্তু অনেকেই সেটাকে মোবাইলের জন্য অপ্টিমাইজ করতে ভুলে যান বা করতে চান না।
কিন্তু আনফরচুনেটলি বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকের বেশিই মোবাইল ব্যবহারকারী।
তাই, যদি আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিট করে মোবাইল ইউজাররা শান্তি না পায় – তাহলে ট্রাস্ট মি, আপনিও শান্তি পাবেন না।
সিম্পল!
অনেক ইকমার্স বা অনলাইন ব্যবসায়ীদের দেখেছি যারা ভেবে থাকেন, তাদের ওয়েবসাইটের সেল বৃদ্ধি করার জন্য ওয়েবসাইটের রিডিজাইন করাটা গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু একটাবার বাংলাদেশের অনলাইন শপগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখুন।
কি এমন আহামরি ডিজাইন সেইসব ওয়েবসাইটে আছে, যার ডিরেক্ট এফেক্ট তাদের সাইটে পড়েছে?!
খুবই খুবই অল্প!
সেল বাড়াবেন ভালো সিদ্ধান্ত! কিন্তু রিডিজাইন করার চিন্তা বাদ দিয়ে মার্কেটিং ও কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজির দিকে মনোযোগ দিন।
ওয়ার্ড অফ মাউথ নিয়ে অনেকেরই ‘ওভার কনফিডেন্ট’ দেখা যায়।
আমি কিন্তু এটা বলছি না যে, ওয়ার্ড অফ মাউথ কাজ করে না!
বরঞ্চ ওয়ার্ড অফ মাউথ আমার মতে ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং সিস্টেমগুলোর কিং।
কিন্তু, শুধুমাত্র ওয়ার্ড অফ মাউথের উপর নির্ভর করে বসে থাকলে আপনার সেলস রেট যে গতিতে বাড়বে, তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি গতিতে আপনার কম্পিটিটরের সেলস রেট বাড়ছে এবং বাড়বে।
সেজন্য শুধুমার ওয়ার্ড অব মাউথের উপর ভরসা না করে আপনার ব্যবসাটাকে সঠিক মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজিতে নিয়ে আসতে পারেন।
আমি অ্যাকটিভলি মার্কেটিং করছি, প্রায় দশ বছরের বেশি সময় ধরে। আই ক্যান হেল্প ইউ উইথ দ্যাট! জাস্ট সেন্ড মি অ্যা টেক্সট!
২০২২ সালে যদি আপনি ডিজিটালি আপনার ব্যবসাটাকে নিয়ে আসতে না পারেন, তাহলে আমার সাথে বাজি ধরতে পারেন, আপনার ব্যবসা বেশিদিন টিকবেন না। আর টিকলেও সেটার গ্রোথ কচ্ছপের চেয়েও ধীর হয়ে যাবে।
দেখুন, মার্কেটিং যদি আপনার নিজেরই করতে হয়, তাহলে সেটার সম্পর্কে সঠিক ধারনা রাখাটাও তো ইম্পোর্টেন্ট! তাই না?
কোর্স করুন। আমার নিজের তৈরি করা কোর্সগুলোও করতে পারেন। আরো অনেক কোর্স আছে গুগলে!
আর ব্যবসা নিয়ে যত বেশি সম্ভব হয় – জানুন।
কারণ, চাকরি করে কেউ কোটিপতি হয় না। কোটিপতি হয় আপনার পাশের বাসার ছেলেটা, যে ফেসবুকে মাছ বিক্রি করছে! কোটিপতি হয় তারাই, যারা ব্যবসায়ী, যারা উদ্যোক্তা!
স্টে পজিটিভ অ্যান্ড ডোন্ট ফরগেট টু শেয়ার!
Pingback: মাসে অন্তত ৩০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব এই সিম্পল প্রসেসে — Muntasir Mahdi