নভেম্বরের ২৭ তারিখ পর্যন্ত, ২০০০০ টাকার বিজনেস বান্ডেলে ৫৫% অতিরিক্ত ডিসকাউন্ট

৭টি খুবই সহজ প্রোডাক্টিভিটি হ্যাকসঃ প্রত্যেকদিন’কে কাজে লাগানোর জন্য

আপনি যদি এটা শুনে থাকেন, ‘মাল্টিটাস্কিং হচ্ছে, অনেকগুলো কাজ একসাথে কমপ্লিট করার সবচেয়ে বেস্ট পদ্ধতি’, তাহলে এটা মনে রাখুন – এটা সবচেয়ে বেস্ট ম্যাথড নয়!

বরঞ্চ, মাল্টিটাস্কিং – সবচেয়ে ডেঞ্জারাস ‘প্রোডাক্টিভিটি কিলার’গুলোর ভেতর একটা! এমনকি, মাল্টিটাস্কিং প্র্যাকটিস করার কারণে আপনার প্রোডাক্টিভিটি ও কাজের এফেক্টিভনেস কমে যেতে পারে!

এর সল্যুশন হিসেবে, এই ৭টা প্রোডাক্টিভিটি হ্যাকস অ্যাপ্লাই করা শুরু করতে পারেন! আর এই ৭টা হ্যাকস, প্রত্যেকদিন অ্যাপ্লাই করা সম্ভব; যেটা মাইক্রো লেভেলে আপনার প্রোডাক্টিভিটি বাড়াতে শুরু করবে!

নিজের উপর কন্ট্রোল রাখার জন্য, একটা রুটিন তৈরি করুন; যতটা ডিটেইলড সম্ভব হয়! ৯০% মানুষ, যারা রুটিন ফলো করে থাকে; তারা প্রত্যেকদিনে অন্যদের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম স্ট্রেস অনুভব করে থাকে!


প্রত্যেকদিনই আমাদের একটা বা দুটো বড় টাস্ক কমপ্লিট করতে হয়! চেষ্টা করুন, দিনের শুরুতে সেই কাজটা করে ফেলতে! সারাদিনে যদি আপনার ১০টা ছোট্ট টাস্ক আর দুটো বড় টাস্ক কমপ্লিট করতে হয়; তাহলে বড় কাজগুলো আগে শেষ করে ফেললে – সবগুলো টাস্ক কমপ্লিট করার চান্স ৭০% বেড়ে যায়!


রেগুলারলি যেকোনো কাজেই, পোমোডোরো টেকনিক প্র্যাকটিস করা শুরু করুন! এই টেকনিক অনুসারে, ২৫ মিনিট কাজ করুন তারপর ৫ মিনিটের ব্রেক নিন! এই সার্কেলটাকে বলা হয়, একটা পোমোডোরো! এভাবে চারটা পোমোডোরো সার্কেল কমপ্লিট করার পর; একটা লম্বা ব্রেক নিন ১৫-৩০ মিনিটের! ছোট ছোট লার্নিং সার্কেলের কারণে আপনি দ্রুত তথ্যগুলো মনে রাখতে পারবেন এবং আপনার শেখার মোটিভেশন ও মনোযোগ দুটোই বেড়ে যাবে!


দুই মিনিট রুল ব্যবহার করতে পারেন! অর্থাৎ, যদি একটা কাজ করতে দুই মিনিটের কম সময় লাগে তাহলে সেটা এখনই করে নিন আর যদি দুই মিনিটের বেশি সময়ের প্রয়োজন হয় ,তাহলে সেটা পরবর্তীতে করার জন্য নোট করে রাখুন! এই টেকনিক, প্রত্যেকদিনে আপনার ১০% সময় বাঁচিয়ে দিতে পারে!


একটা টু-ডু লিস্ট করুন এবং সেই লিস্ট অনুসারে একটা একটা করে কাজ, কমাতে শুরু করুন এবং প্রত্যেকটা কাজ শুরু করার আগেই আপনার নোটিফিকেশন বন্ধ করে নিন! টু-ডু লিস্ট, আপনার কাজের প্রতি মনযোগ বাড়াবে এবং কাজের এফেক্টিভনেস ৫০% বাড়িয়ে দিতে পারে!


প্রত্যেকদিনের একটা টার্গেট রাখুন, আর সেই টার্গেট পূরণ করার জন্য একটা রিওয়ার্ড সিস্টেম রাখতে পারেন। এতে আপনার কাজের পারফর্ম্যান্স ৩০% বেড়ে যাবে!


প্রত্যেকদিন সময় দিয়ে, একটু ভাবুন; আজকের দিনে কতোটুকু এগুতে পারলেন – আপনার লক্ষ্যের দিকে; আর যে কাজগুলো করছেন, যেগুলো কী আদৌ আপনাকে আপনার লক্ষ্যের দিকেই পৌঁছে দিচ্ছে? আপনি ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন কী? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর, আপনার মূল লক্ষ্যকে আরো স্পষ্ট করবে; যে প্রশ্নের উত্তর আপনার কাছে ছিলো না বলে, বসে ছিলেন – সেটার উত্তরও পেয়ে যেতে পারেন!

এগুলো কাজ করবে কী-না; সেটার ফলাফল দেখতে চাইলে, এখান থেকে যেকোনো একটা বা দুটো বাছাই করুন এবং আজকে থেকে শুরু করে বেশ কিছুদিন প্র্যাকটিস করুন! নিয়মিত অ্যাপ্লাই করুন! যখন সেগুলো অভ্যেস হয়ে যাবে, তখন এভাবেই বাকিগুলো অ্যাপ্লাই করা শুরু করবেন!

প্রোডাক্টিভিটি কোনো ওষুধ নয়, যেটা দুবেলা চাবালেই ‘সুস্থ’ হয়ে যাবেন! প্রোডাক্টিভিটি ধরে রাখতে হয়; নিয়ম করে নিজের গ্রোথের জন্য, লক্ষ্যে পৌছুনোর জন্য কাজ করার মাধ্যমে!

No matter how good you get you can always get better, and that’s the exciting part. (Tiger Wood)

6 thoughts on “৭টি খুবই সহজ প্রোডাক্টিভিটি হ্যাকসঃ প্রত্যেকদিন’কে কাজে লাগানোর জন্য”

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top