১০০% গ্যারান্টেড ইনকাম প্যাকেজঃ ইনকাম না হলে - রিফান্ড ইনস্ট্যান্টলি

ক্যানভা দিয়ে কীভাবে আয় করবেন? ক্যানভা মনিটাইজেশন স্ট্র্যাটেজিস

মনে আছে, ২০১৪/২০১৫ এর দিকে গ্র্যাফিক্স ডিজাইনাররা; ছোট ছোট ফটোশপ বেইজড, ইলাস্ট্রেটর বেইজড কাজগুলো করে অনলাইন ইনকাম করেছে! এমনকি আজও আপনি ফাইভার বা গামরোড বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসগুলোতে ফটোশপ আর ইলাস্ট্রেটর লিখে সার্চ করলে হাজারেরও বেশি গিগ খুঁজে পাবেন!

ক্যানভাও বর্তমানে এমনই একটি টুল যেটা ঠিকঠাক ব্যবহার করতে জানলে, সঠিক প্রসেসে ব্যবহার করতে জানলে – অনেকগুলো ম্যাথডে ক্যানভাকে মনিটাইজ করে অনলাইন ইনকাম জেনারেট করা সম্ভব!

আমি নিজেই সেই ২০১৯ এর শেষ থেকে আজ পর্যন্ত; আমার ৬টা বিজনেসের প্রায় ৯৫% গ্র্যাফিক্সের কাজই, ক্যানভা দিয়েই করে যাচ্ছি!

এই আর্টিকেলটিতে আমরা ১০টি ক্যানভা মনিটাইজেশন স্ট্র্যাটেজি দেখবো; যেগুলো আপনি ক্যানভা দিয়েই ডিজাইন করে অনলাইন ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন!

লেটস ডাইভ ইন!

১. ক্যানভা টেমপ্লেট বিক্রি করা

ক্যানভা টেমপ্লেট বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে বিভিন্ন ধরণের টেমপ্লেট (যেমন, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা প্রেজেন্টেশন বা ইবুক টেমপ্লেট বা থাম্বনেইল টেমপ্লেট ইত্যাদি) তৈরি করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য টেমপ্লেট ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে অনেকগুলো ক্যানভা টেমপ্লেট তৈরি করে বান্ডেল করে সেটাকে গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


২. ইবুক বিক্রি করা

ইবুক বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে ইবুক তৈরি করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য ইবুক ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন!

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে ইবুক তৈরি করে ইবুক টেমপ্লেট বা সম্পূর্ণ নিজের ইবুক ডেভেলপ করে সেটাকে অ্যামাজন কিন্ডেল বা গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


৩. প্রিন্টেবলস বিক্রি করা

প্রিন্টেবলস হচ্ছে, কাগজে প্রিন্ট করে ব্যবহার করা যায় এমন ধরণের গ্র্যাফিক্যাল কন্টেন্ট, যেমনঃ ক্যালেন্ডার বা উক্তি বা ইনভাইটেশন কার্ড কিংবা প্ল্যানার ইত্যাদি!

প্রিন্টেবলস বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে প্রিন্টেবল ডিজাইন বা টেমপ্লেট তৈরি করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য প্রিন্টেবল ক্যালেন্ডার বা প্রিন্টেবল প্ল্যানার বা ওয়ার্কশিট ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন!

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে প্রিন্টেবল তৈরি করে টেমপ্লেট বা সম্পূর্ণ নিজের প্রিন্টেবল প্রোডাক্ট ডেভেলপ করে সেটাকে গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


৪. এডুকেশনাল ম্যাটেরিয়াল বিক্রি করা

এডুকেশনাল ম্যাটেরিয়ালস বা এডুকেশনাল গ্র্যাফিক্স হচ্ছে, ট্রেইনার বা টিচার এবং শিক্ষার্থী বা লার্নারদের জন্য গ্র্যাফিক্যাল কন্টেন্ট বা টেমপ্লেট!

এডুকেশনাল ম্যাটেরিয়াল হতে পারেঃ অনলাইন কোর্স ডিজাইন, ওয়েবইনার ডিজাইন, ওয়ার্কশপ প্রেজেন্টেশন ডিজাইন, এডুকেশনাল ডকুমেন্টস ডিজাইন, স্টাডি গাইড ডিজাইন ইত্যাদি!

এডুকেশনাল ম্যাটেরিয়ালস বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে এডুকেশনাল ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন বা টেমপ্লেট তৈরি করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য এডুকেশনাল ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন! অর্থাৎ, ক্লায়েন্টকে কোর্স বা প্রেজেন্টেশন বা স্টাডি গাইড ডিজাইন করে দেয়ার জন্য চার্জ করতে পারেন!

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে এডুকেশনাল ম্যাটেরিয়াল তৈরি করে টেমপ্লেট বা সম্পূর্ণ নিজের এডুকেশনাল প্রোডাক্ট ডেভেলপ করে সেটাকে গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


৫. সোশ্যাল মিডিয়া কিট বিক্রি করা

সোশ্যাল মিডিয়া কিট হচ্ছে, সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট বা স্টোরি বা থাম্বনেইল বা কন্টেন্টের টেমপ্লেট একত্র করে একসাথে তৈরি করা একটা বান্ডেল!

একটা প্রফিটেবল সোশ্যাল মিডিয়া কিট এর ভেতর পোস্ট টেমপ্লেট, স্টোরি টেমপ্লেট, অ্যাড টেমপ্লেট, ভিডিও টেমপ্লেট, নিশ স্টক কন্টেন্টসহ আরো বেশ কিছু সোশ্যাল মিডিয়া বেইজড গ্র্যাফিক্যাল টেমপ্লেট থাকতে পারে!

সোশ্যাল মিডিয়া কিট বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া কিট ডিজাইন বা টেমপ্লেট তৈরি করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া কিট ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন! অর্থাৎ, ক্লায়েন্টকে তার নিশের জন্য পোস্ট বা স্টোরি বা কন্টেন্ট টেমপ্লেট ডিজাইন করে দেয়ার জন্য চার্জ করতে পারেন!

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে সোশ্যাল মিডিয়া কিট তৈরি করে টেমপ্লেট বা সম্পূর্ণ নিজের সোশ্যাল মিডিয়া কিট ডেভেলপ করে সেটাকে গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


৬. ছোট ভিডিও তৈরি করে সেটাকে মনিটাইজ করা

ছোট ভিডিও তৈরি করে সেটাকে মনিটাইজ করা বলতে আমি যেটা বোঝাতে চাইছি, সেটা হচ্ছে; একটা নিশ বাছাই করে সেটার উপর ৫০-১০০টি ছোট ১ মিনিটের ভিডিও কন্টেন্ট ডিজাইন করা! তারপর সেই ভিডিও কন্টেন্টগুলোকে আপনি চাইলে সরাসরি মার্কেটপ্লেসে টেমপ্লেট হিসেবে বান্ডেল আকারে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন!

কিন্তু, আপনি চাইলেই এই ভিডিও কন্টেন্টগুলোকে রিলস বা শর্টসের মতো করে ব্যবহার করে, নিশ বেইজড সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ করে সেখান থেকে ট্র্যাফিক জেনারেট করার মাধ্যমে মনিটাইজ করে আয় করাটা আরো বেশি প্রফিটেবল!

এই প্রসেসে মনিটাইজ করা বলতে কিন্তু শুধুমাত্রই ফেসবুকের অ্যাডস বা ইউটিউবের অ্যাডস থেকে ইনকাম করাটাই বোঝাচ্ছি না!

বরঞ্চ অ্যাডস ছাড়াও, যেহেতু রিলস বা শর্টস থেকে আপনার ট্র্যাফিক আসছে; সেহেতু অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বা স্পন্সরশিপ বা সোশ্যাল মিডিয়া ট্র্যাফিক বিক্রি করেও ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন!


৭. প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেটস বিক্রি করা

প্রত্যেক কর্পোরেট বা অফিশিয়াল বা বিজনেস কিংবা শিক্ষার্থীর প্রায়ই বিভিন্ন কাজের জন্য প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে হয়! সেই প্রেজেন্টেশনের টেমপ্লেটসগুলো তারা সহজেই এডিট করে নিজের কাজে ব্যবহার করতে পারবে অল্প সময়ের ভেতর! বিভিন্ন কাজেই প্রেজেন্টেশনের প্রয়োজন পড়ে!

যেকোনো ১টা নিশ ও ইন্ডাস্ট্রি বাছাই করে সেটাকে বেইজ করে প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট তৈরি করতে পারেন!

প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট ডিজাইন করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন! অর্থাৎ, ক্লায়েন্টকে তার নিশের জন্য প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট ডিজাইন করে দেয়ার জন্য চার্জ করতে পারেন!

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট তৈরি করে বা সম্পূর্ণ নিজের প্রেজেন্টেশন টেমপ্লেট বান্ডেল ডেভেলপ করে সেটাকে গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


৮. মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস বিক্রি করা

মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস বা মার্কেটিং গ্র্যাফিক্স হচ্ছে, মার্কেটার, অ্যাডভার্টাইজার ও উদ্যোক্তাদের জন্য গ্র্যাফিক্যাল কন্টেন্ট বা টেমপ্লেট!

মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল হতে পারেঃ ফ্লায়ার, ব্রুশিয়ার, বিজনেস কার্ড, প্রোডাক্ট কপি, অ্যাড কপি, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং গ্র্যাফিক্স, ইমেইল হেডারস, ইমেইল মার্কেটিং গ্র্যাফিক্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যানার ইত্যাদি!

মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে মার্কেটিং ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন বা টেমপ্লেট তৈরি করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন! অর্থাৎ, ক্লায়েন্টকে গ্র্যাফিক্যাল অ্যাড কপি বা ইমেইল হেডার কিংবা মার্কেটিং ব্যানার ডিজাইন করে দেয়ার জন্য চার্জ করতে পারেন!

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস তৈরি করে টেমপ্লেট বা সম্পূর্ণ নিজের মার্কেটিং ম্যাটেরিয়ালস বেইজড প্রোডাক্ট ডেভেলপ করে সেটাকে গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


৯. মার্চেন্ডাইজ ডিজাইন/টেমপ্লেট বিক্রি করা

মার্চেন্ডাইজ ডিজাইন/টেমপ্লেট হচ্ছে টি-শার্ট, মগ, গিফট বক্স, কাভার ইত্যাদির প্রিন্টেবল ডিজাইন/টেমপ্লেট!

মার্চেন্ডাইজ ডিজাইন/টেমপ্লেট বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে মার্চেন্ডাইজ ডিজাইন/টেমপ্লেট তৈরি করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য মার্চেন্ডাইজ ডিজাইন/টেমপ্লেট ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন! অর্থাৎ, ক্লায়েন্টকে টি-শার্ট বা মগ বা মোবাইল কাভার ডিজাইন করে দেয়ার জন্য চার্জ করতে পারেন!

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে মার্চেন্ডাইজ ডিজাইন/টেমপ্লেট তৈরি করে বা সম্পূর্ণ নিজের মার্চেন্ডাইজ ডিজাইন/টেমপ্লেট বেইজড প্রোডাক্ট ডেভেলপ করে সেটাকে গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


১০. ওয়েবসাইট বা ইকমার্সের গ্র্যাফিক্স বিক্রি করা

পার্সোনাল হোক কিংবা অফিশিয়াল; পোর্টফোলিও হোক কিংবা ইকমার্স স্টোর; ওয়েবসাইট প্রত্যেকেরই থাকা প্রায় বাধ্যতামূলকই বলা যায়! আর প্রত্যেক ওয়েবসাইটেই গ্র্যাফিক্যাল কন্টেন্ট থাকতেই হবে!

ওয়েবসাইটে অনেক ধরণের গ্র্যাফিক্সের প্রয়োজন পড়ে – যেমন, ওয়েব হেডার বা পপআপ কিংবা ওয়েব অ্যাডস বা ব্লগ ব্যানার ইত্যাদি!

ওয়েবসাইট বা ইকমার্সের গ্র্যাফিক্স বিক্রি করে আয় করতে চাইলে; আপনাকে ক্যানভা দিয়ে ওয়েবসাইট বা ইকমার্সের গ্র্যাফিক্স তৈরি করে সেগুলোকে বিক্রি করতে হবে!

এক্ষেত্রে আপনি দুভাবে ইনকাম করতে পারবেনঃ

ফাইভার বা আপওয়ার্কের মতো ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেসে সার্ভিস আকারে অন্যের জন্য ওয়েবসাইট বা ইকমার্সের গ্র্যাফিক্যাল এলিমেন্টগুলো ডিজাইন করার কাজ করে দিতে পারেন!

অথবা আপনি চাইলে একটা নিশ বাছাই করে সেই নিশে ওয়েবসাইট বা ইকমার্সের গ্র্যাফিক্স তৈরি করে বা সম্পূর্ণ নিজের ওয়েবসাইট বা ইকমার্সের গ্র্যাফিক্স বান্ডেল ডেভেলপ করে সেটাকে গামরোড বা শপিফাইয়ের মতো ডিজিটাল প্রোডাক্ট মার্কেটপ্লেসে বিক্রি করতে পারেন!

কিংবা, নিজের ওয়েবসাইট থাকলে সেখান থেকেও সার্ভিস কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট হিসেবে বিক্রি করতে পারবেন!


এই হচ্ছে, দশটি মনিটাইজেশন স্ট্র্যাটেজি যেখানে ক্যানভা টুলটি ব্যবহার করেই আপনি অনলাইন ইনকাম জেনারেট করতে সক্ষম হবেন!

আরেকটা বোনাস স্ট্র্যাটেজি বলে দিচ্ছি; যেটা আমার মতে সবচেয়ে সহজ মনিটাইজেশন স্ট্র্যাটেজি!

ক্যানভা টিউটোরিয়াল বিক্রি করা

এটা আরেকটা সহজ প্রসেস, ক্যানভাকে মনিটাইজ করার!

এই প্রসেস অনুসারে আপনি মূলত ক্যানভা শিখে, যথেষ্ট প্র্যাকটিস করে, ফ্রিতে কিছু ক্লায়েন্টের জন্য ক্যানভা বেইজড কাজ করে দিলেন এবং পরবর্তীতে তাদের থেকে ফিডব্যাক সংগ্রহ করলেন!

তারপর ক্যানভা বেইজড নিজের একটা পোর্টফোলিও তৈরি করলেন এবং সেখানে ক্যানভা বেইজড যেকোনো সার্ভিস বা ক্যানভা বেইজড টিউটোরিয়াল বা ইবুক বা গাইড বা চেকলিস্ট তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করে ইনকাম করতে পারবেন!

অর্থাৎ, এক্ষেত্রে আপনি ক্যানভা স্পেশালিস্ট হিসেবে, ক্যানভাকে মনিটাইজ করে ইনকাম জেনারেট করছেন!

এই পুরো বিষয়টা আমি আরো ডিটেইলসে দেখিয়েছি; এই মাস্টারক্লাসেঃ ক্যানভা ও চ্যাটজিপিটি মনিটাইজেশন মাস্টারক্লাস

ক্যানভা ও চ্যাটজিপিটি নিয়ে বাংলা ভাষায় ক্যানভা টু ডিজিটাল প্রোডাক্ট ডেভেলপমেন্ট, ক্যানভা মনিটাইজেশন এবং চ্যাটজিপিটি মনিটাইজেশন নিয়ে সবচেয়ে উন্নত ও ইনফরমেটিভ কোর্সগুলোর একটি!

ক্যানভা ও চ্যাটজিপিটি টু মানি মেকিং কোর্সে, দেখিয়েছি কিভাবে ক্যানভা আর চ্যাটজিপিটি দিয়ে আপনি ধাপে ধাপে শূন্য থেকে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বা ডিজিটাল সার্ভিস তৈরি করে সেটাকে মার্কেটিং করে সেল করে আয় করবেন!

কীভাবে আপনি প্রফেশনাল ডিজিটাল সেলস টেকনিকগুলো ফলো করে; ক্যানভা দিয়ে ডিজাইন করে ও চ্যাটজিপিটি দিয়ে কন্টেন্ট জেনারেট করে  সেটাকে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন, প্রত্যেক মাসে অন্তত ৫০-৩০০ ডলার এবং সেটার জন্য যা যা দরকার; সবকিছুই এই মাইক্রো স্কিলের কোর্স দেয়া আছে!

একইসাথে, প্রায় সাড়ে চার ঘন্টার, ইবুক রাইটিং ও মনিটাইজেশন নিয়ে, আলাদা লেসনস যুক্ত করে দেয়া হয়েছে; যেখানে দেখিয়েছি কিভাবে একটা ইবুক শূন্য থেকে তৈরি করে সেটাকে মার্কেটিং করে সেল করে আয় করবেন! কীভাবে আপনি প্রফেশনাল ডিজিটাল সেলস টেকনিকগুলো ফলো করে; একটা ইবুক ডিজাইন করে সেটাকে বিক্রি করে আয় করতে পারবেন, প্রত্যেক মাসে অন্তত ৫০-৩০০ ডলার এবং সেটার জন্য যা যা দরকার; সবকিছুই এই কোর্সের ভেতরেই যুক্ত করে দেয়া আছে!

এখনো ইনরোল না করলে, করে ফেলুন; ১৪ ঘন্টার বেশি এই মাস্টারক্লাস আপনাকে একেবারে ডিটেইলসে বুঝতে সাহায্য করবে!

বেস্ট অফ লাক!

কোনো প্রশ্ন থাকলে, হোয়াটসঅ্যাপ করে ফেলতে পারেনঃ ০১৭৫৬৭৮৩৯৯০

12 thoughts on “ক্যানভা দিয়ে কীভাবে আয় করবেন? ক্যানভা মনিটাইজেশন স্ট্র্যাটেজিস”

  1. ক্যানভা মনিটাইজ করার অসাধারণ আইডিয়াগুলো জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়তেই হবে

  2. যারা ক্যানভা দিয়ে আয় করতে চান, তাদের জন্য এটা খুবই কাজের

  3. এই আর্টিকেলটি ক্যানভা ব্যবহার করে আয়ের দারুণ টিপস দিয়েছে

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top