মাসে অন্তত ৩০০০০ টাকা আয় করা সম্ভব এই সিম্পল প্রসেস অ্যাপ্লাই করেই!
শুরু করুন, যেকোনো একটা স্পেসিফিক নিশ দিয়ে!
জগাখিচুড়ি করা যাবে না। যেমন, হেলথ নিশ বাছাই না করে – যেকোনো একটা স্পেসিফিক নিশ বাছাই করুন – হেলথের ভেতর।
ঠিক একইভাবে, আপনি যে নিশে রয়েছেন, সেই নিশের ভেতরে স্পেসিফিক এবং মাইক্রো একটা নিশ বাছাই করুন! যেমন, কন্টেন্ট রাইটিং বাছাই না করে, কপিরাইটিং বাছাই করতে পারেন অথবা ডিজিটাল মার্কেটিং বাছাই না করে, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বা কন্টেন্ট মার্কেটিং বা এসইও বাছাই করুন!
আবারো বলছি, ছোট বা সুপার স্পেসিফিক নিশ বাছাই করলে কম্পিটিশন কম পাবেন আর সেল ভালো পাবেন!
বাই দ্যা ওয়ে, যদি এই আর্টিকেল পড়তে মন না বসে, তাহলে এখান থেকে মাত্র তিন মিনিটের এই ভিডিওটা দেখে ফেলতে পারেনঃ
তারপরের কাজ, প্লাটফর্ম বাছাই করা!
মার্কেটিংয়ের জন্য একটা প্লাটফর্ম বাছাই করুন, সেলসের জন্য একটা প্লাটফর্ম বাছাই করুন এবং সার্ভিস দেয়ার জন্য আরেকটা প্লাটফর্ম বাছাই করুন।
যেমন, আপনি যদি ইউটিউব এসইও এই সার্ভিস সেল করতে চান; তাহলে মার্কেটিং করে ক্লায়েন্ট পাওয়ার জন্য ফেসবুক বাছাই করতে পারেন; সেলসের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ বা ইন্সটাগ্রাম বাছাই করতে পারেন এবং সার্ভিস দিয়ে অর্ডার কনফার্ম করার জন্য ফাইভারের মতো মার্কেটপ্লেস কিংবা আপনার পার্সোনাল ওয়েবসাইট বাছাই করতে পারেন!
এবার আপনার কাজ হবে, নিয়মিত কন্টেন্ট আপলোড করা!
প্রত্যেকদিন, রিপিট করছি আবারো, প্রত্যেকটা দিন আপনাকে আপনার সার্ভিস বা পণ্য নিয়ে পোস্ট করে যেতে হবে।
যতো বেশি আপনার সার্ভিস বা প্রোডাক্ট নিয়ে কন্টেন্ট আপলোড করতে পারবেন, কন্টেন্ট পাবলিশ করতে পারবেন – তত বেটার আপনার ওভারঅল রিচ বাড়বে। যেটা সর্বোপরি আপনার ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং ও সেলসে কনভার্ট হবে!
আপনিই বলুন, ৫০০ জনের মধ্যে আপনার প্রোডাক্ট কেনার চান্স বেশি মানুষের নাকি ৫০ জনের মধ্যে?
এখন আপনার নিশের স্কিলটাকে নিয়ে একটা ডিজিটাল প্রোডাক্ট তৈরি করুন।
যেকোনো ধরনের ডিজিটাল প্রোডাক্ট হতে পারে। যেমন, ইবুক বা কোর্স কিংবা টেম্পলেট অথবা রিসোর্স প্যাকেজ অথবা রেডিমেড আর্টিকেল ইত্যাদি! যাই-ই তৈরি করুন, পুরোটাই ফ্রিতে করা সম্ভব।
কারণ, ডিজিটাল প্রোডাক্ট ম্যানুফ্যাকচার করা এবং প্যাকেজিংয়ে কোনো খরচ নেই বললেই চলে!
তারপর আপনাকে প্রচুর মার্কেটিং করতে হবে!
মার্কেটিং দুভাবে করা যায়, অর্গানিক্যালি বা ফ্রিতে এবং পেইড মার্কেটিং! ইনভেস্ট থাকলে, পেইড মার্কেটিং করুন। ভালো ২/৩ টা অ্যাড রান করলেই আপনার প্রথম ১০-২০ জন্য ক্লায়েন্ট/কাস্টোমার গ্র্যাব করে ফেলতে পারবেন!
আর যদি ফ্রিতে বা অর্গানিক্যালি মার্কেটিং করতে চান, তাহলেও ভালো কিছু অর্গানিক্যাল মার্কেটিং ও ট্র্যাফিক জেনারেশন ট্যাকটিকস অ্যাপ্লাই করুন। সপ্তাহখানেকেই প্রথম দশজন কাস্টোমার জেনারেট করে ফেলতে পারবেন!
এইতো!
আরো ভালো কিছু ডিজিটাল প্রোডাক্টের আইডিয়া দিয়ে দিচ্ছি!
এগুলো মোবাইল দিয়েই তৈরি করা সম্ভব এবং এগুলো ফ্রিতে, আজকে, এখনই ঘরে বসে তৈরি করে আয় করা শুরু করা সম্ভব!
মোবাইল দিয়ে তৈরি করা যাবে, এমন পাঁচটি ডিজিটাল প্রোডাক্ট –
- ইবুক বা বুকলেট
- মাইক্রো/ন্যানো/মেগা ভিডিও/অডিও কোর্স
- হাই কোয়ালিটি লিংক বিল্ডিং প্যাকেজ
- ডোমাইন/প্রিমিয়াম ডোমেইন
- গ্র্যাফিকাল টেমপ্লেটস ইত্যাদি!
আর এই নিন,
অর্গানিক মার্কেটিং করে কাস্টোমার জেনারেট করার কয়েকটা সিম্পল টেকনিক –
- ফেসবুক বা ইন্সটাগ্রামে নিয়মিত আপনার প্রোডাক্ট বা সেবা রিলেটেড স্টোরি দিন।
- ইউটিউবে শর্টস দিন, প্রচুর ট্র্যাফিক পাবেন!
- প্রাইভেট কমিউনিটি করুন, সেল পাবেন প্রতিদিন!
- ফলো, ট্রিপল সি ফর্মুলা অফ কন্টেন্ট ক্রিয়েশন! ক্রিয়েট কন্টেন্ট কনসিসটেন্টলি!
- টুইটারে অর্গানিক রিচ কিন্তু অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কয়েকগুণ বেশি!
আরেকটা বোনাস টিপস দিই,
সার্ভিসের ক্ষেত্রে, অ্যাজেন্সি তৈরি করুন। ছোট্ট একটা সোশ্যাল মিডিয়া মাইক্রো অ্যাজেন্সি আপনাকে সিঙ্গেল থাকলে যে পরিমাণ ক্লায়েন্ট পেতেন; তার থেকে অনেক বেশিই এনে দেবে!
সো, গুড ডে!
অ্যান্ড, শেয়ার! লাইক কমেন্ট করতে না চাইলে, কোনো প্যারা নাই! কিন্তু উল্টাপাল্টা কন্টেন্ট শেয়ার করার চাইতে, এগুলো শেয়ার করেন! সওয়াব পাবেন কি না জানি না- কিন্তু পাপ হবে না; সেটাতে মোটামুটি শিউর থাকা যায়! তাই না?
স্টে পজিটিভ স্টে স্ট্রং
এগুলো কাজে আসবেঃ